বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে তারা অবরোধ শুরু করেন। এসময় ধর্ষণ প্রতিরোধে ফ্ল্যাশ মব করা হয়।
ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলে এলাহী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আটক ধর্ষক মজনুর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি। বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা, কালক্ষেপণের কারণে এই সিরিয়াল রেপিস্টরা তৈরি হচ্ছে। ক্যাম্পাসে ও রাজধানীতে ছাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
এসময় শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের বিচার দাবিতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, টনক তোমার নড়বে কবে? আজ না হলে হবে কবে?’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অপরদিকে কালো পতাকা মিছিল করেছে গণরুমের শিক্ষার্থীরা। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য তানভীর হাসান সৈকত।
এর আগে বুধবার ভোরে (০৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়ক এলাকা থেকে ধর্ষক মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে তার ছবি দেখালে ধর্ষককে শনাক্ত করেন তিনি।
পরে বুধবার (০৮ জানুয়ারি) মজনুকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে তুলে দেয় র্যাব। পরে ক্যান্টনম্যান্ট থানায় ওই ছাত্রীর বাবার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ধর্ষক মজনুকে আদালতে নেয় পুলিশ।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ঘটনার রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি অভিযোগ করেন। যাচাই-বাছাই শেষে পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
একই সঙ্গে আদালত মামলার বিষয়ে আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ঢাবির ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এসকেবি/এসএ