বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর এলাকায় বাঙালি নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে মরদেহটি উঠে আসে।
নিহত শহিদুল ইসলাম শেরপুর উপজেলার সুত্রাপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে।
শেরপুর থানার পুলিশ উপ পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমার বাংলানিউজকে জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী সালমা বেগমকে (২৮) আটক করা হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে নিহতের স্বজন আলমাছ হোসেন ও রমজান আলী বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহিদুল ইসলাম বাড়ির পাশে বাঙালি নদীর ঘাট থেকে পানি আনতে যান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। তাদের ধারণা, শহিদুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর তার মরদেহ গুম করতেই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
তারা অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার যুবক শাহীন মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই নিহতের স্ত্রী সালমা বেগমের পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। একপর্যায়ে ঘটনাটি জানতে পেরে মাস দুয়েক আগে স্ত্রী সালমাকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান শাহীন। পরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়ে যাওয়ার পর আবারও এলাকায় এসে সংসার শুরু করেন তারা। এই দম্পতির সংসার জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তবে পরকীয়ার জের ধরেই শহিদুলকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন তারা।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। পরকীয়াসহ নানা বিষয়কে সামনে রেখে তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
কেইউএ/এবি