প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দিন জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন এবং লোগো উন্মোচন করবেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য রেখে রাজধানীসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এবং সব জেলা শহরে একযোগে ক্ষণগণনা শুরু হবে।
মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের প্রতীকী বিমান অবতরণ করা হবে। এরপর বিমানটি ট্যাক্সি করে টারমাক এলাকায় পৌঁছানোর পর দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ২১ বার তোপধ্বনি করা হবে। বিমানের দরজা খোলা হলে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী জাতির পিতাকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত থাকবেন। এরপর লেজার লাইটের মাধ্যমে বিমানের দরজার কাছে আলোকিত করা হবে। আলোটি ধীরে ধীরে সিঁড়ি দিয়ে নেমে লাল গালিচার মাথায় এসে থামবে। এই আলোই হচ্ছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি আমাদের আলোকবর্তিকা হয়ে এসেছিলেন।
বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের ভাষণ শেষে, মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সুইচ টিপে সারাদেশে একযোগে ক্ষণগণনার উদ্বোধন করবেন।
১০ জানুয়ারি ক্ষণগণনার শুরু হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ রাত ১২টা ১মিনিটে ০০ আওয়ারে পরিণত হবে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশ বিদেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপন করা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, জাতিসংঘের সাবেক প্রেসিডেন্ট বান কি মুন, ওআইসি সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমেদ আল-ওথাইমিন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানসহ কয়েকজন বিশ্বনেতা।
জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ইতোমধ্যে বিদেশে তিনটি বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। পাকিস্তানের বাংলাদেশি মিশনে বঙ্গবন্ধুর বড় একটি ম্যুরাল স্থাপনসহ চারটি দেশের বড় বড় শহরে বঙ্গবন্ধুর নামে রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৭৭টি মিশনে প্রায় তিনশোর মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
আরকেআর/এএটি