সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ২ জন হলেন- ধুমাইটারী গ্রামের রানা মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের আইজল মিয়া (৫০) ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরে সুন্দরগঞ্জ পৌর এলাকার ধুমাইটারী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতে ১৩ জনকে আসামি করে নির্যাতনের শিকার কিশোরের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র নুরুন্নবী
প্রামাণিক সাজুর ছোট ভাই তনু প্রমাণিককে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান বাংলানিউজকে বলেন, কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনাটি পুলিশের আগে জানা ছিল না। রোববার রাতে নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানতে পারি। এরপর কিশোরের পরিবারকে ডেকে এনে মামলা নেওয়া হয়। মামলার পর পরই অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
নির্যাতিত কিশোরের স্বজনদের অভিযোগ, প্রতিবেশী ফজলু, ইয়াজল ও নাজমুলের
সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারবারিক বিরোধ চলছিল। গরু চুরির মিথ্যা অভিযোগে
শুক্রবার রাতে ঘুম থেকে রাফিকুলকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করা হয়। চাওয়া অনুযায়ী টাকা দিতে না পারার কারণে পুনরায় তাকে রাতভর আটকে রেখে মারধর করা হয়। পরদিন সকালে গ্রামের শতশত মানুষের সামনে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাফিকুলকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এইচএডি/