সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় সোহেল ওরফে টেপ্পা ও সোহাগ ছাড়া অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আমলাপাড়া গ্রামের সোহেল ওরফে টেপ্পা (২০), একই উপজেলার জগন্নাথপুর-লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪২), লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ (৪২) ও সোহাগ (৩১)।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী আন্তঃনগর এগারোসিন্দুর প্রভাতী ট্রেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন ছাড়ার পর কতিপয় ডাকাত হামলে পড়ে। এ সময় ট্রেনযাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের হেলাল মিয়াকে ছুরিকাঘাতে আহত করে তার সঙ্গে থাকা ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এরপর এ ঘটনায় হেলাল মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ভৈরব জিআরপি থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৬ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিআরপি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাসেম আকন্দ ১২ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সাক্ষ্য-শুনানি শেষে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর রায় ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এইচএডি/