সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশি পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
এর আগে গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বামনদল সীমান্তের ৮৩৬ ও ৮৩৭ নম্বর মেইন পিলার এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহত আবু সাঈদ পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের বামনদল এলাকার বাসিন্দা।
বিজিবি ও নিহতের পরিবার জানান, ওই সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে তামাক ক্ষেতে কাজ করছিলেন আবু সাঈদ। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চোরাকারবারি সন্দেহে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আবু সাঈদকে মারপিট করে বিদ্যুতের পিলারের কাছে ফেলে চলে যায়। এতে তার মৃত্যু হলে শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার। তবে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে গরু পাচার করার সময় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রংপুর ৬১ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে ভারতীয় বিএসএফকে পত্র পাঠিয়ে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অবশেষে দুই দিন পর সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় মেখলিগঞ্জ থানার ওসি রাজেশ কুমার নিহত বাংলাদেশি আবু সাঈদের মরদেহ বুড়িমারী স্থলবন্দর গেটে পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন্ত কুমার মোহন্তের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন্ত কুমার মোহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> বুড়িমারী সীমান্তে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এইচএমএস/এইচএডি/