আর তাই যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়, সেগুলোতে পূজার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণে ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও পূজা একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডের ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট গ্রহণ ও সরস্বতী পূজা একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৭ নং ওয়ার্ডে। এর বাইরে তিনটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৬ ও ৪২ নং ওয়ার্ডে। দুইটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫, ১৮ ও ৩৯ নং ওয়ার্ডে। একটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬, ২৭, ৪১, ৪৩, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৬৪ নং ওয়ার্ডে।
দক্ষিণ সিটিতে ভোটগ্রহণ ও পূজা একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- রাজারবাগ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (চারটি কেন্দ্র), কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ (দুইটি কেন্দ্র), লিটল বার্ড কিন্ডাগার্টেন (দুইটি কেন্দ্র), ঢাকা কলেজ (চারটি কেন্দ্র), গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল (দুইটি কেন্দ্র), আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ (দুইটি কেন্দ্র), অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ (দুইটি কেন্দ্র), ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (দুইটি কেন্দ্র), বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ (তিনটি কেন্দ্র), সিলভারডেল প্রিপারেটরি অ্যান্ড গার্লস হাই স্কুল (দুইটি কেন্দ্র), শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় (দুইটি কেন্দ্র), সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ (দুইটি কেন্দ্র), সিটি করপোরেশন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (চারটি কেন্দ্র), সবুজ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয় (তিনটি কেন্দ্র), কবি নজরুল সরকারি কলেজ (দুইটি কেন্দ্র), ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (একটি কেন্দ্র), সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ (একটি কেন্দ্র), কে এল জুবিলী হাই স্কুল (চারটি কেন্দ্র), গেন্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (চারটি কেন্দ্র), বাংলাদেশ ব্যাংক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (একটি কেন্দ্র) এবং ধার্মিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (একটি কেন্দ্র)। এর বাইরের কেন্দ্র সংখ্যা উল্লেখ না থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পোগোজ স্কুল, ইস্ট বেঙ্গল ইন্সটিটিউট, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ও বাংলাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পোগোজ স্কুল, ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউট, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি ও বাংলাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিকল্প ব্যবস্থা নেই বলেই জানা গেছে। বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগই প্রতিষ্ঠানের মাঠে সরস্বতী পূজা করে থাকে। বাকিগুলোতে পূজা অনুষ্ঠিত হয় মিলনায়তনে বা নির্দিষ্ট কোনো কক্ষে।
এ বিষয়ে পোগোজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। সুতরাং ভোট ও পূজা একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। আর বড় কথা হলো, সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, সরস্বতী পূজা হওয়ার কথা ২৯ জানুয়ারি। আমাদের স্কুলও সেদিন ছুটি। এখন সবার সঙ্গে কথা বলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
এ বিষয়ে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর বলেন, উত্তর সিটিতে ২৭টি প্রতিষ্ঠানে এবং দক্ষিণ সিটিতে ২৬টি প্রতিষ্ঠানে পূজা হয়, যা মোট কেন্দ্রের ২ দশমিক ১৫ শতাংশ। স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, এটা নিয়ে সমস্যা নেই।
তিনি আরো বলেন, পূজা তারা কোথায় করে- সে তথ্য নেওয়া হয়েছে। যেমন অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়ে কথা বলা হয়েছে- এটা তারা করে তাদের মিলনায়তনে। এটা বেশ বড় স্কুল,তাই সব রুম নির্বাচনের জন্যও লাগবে না। পূজার জন্য তো লাগবেই না। অতএব, পূজা যেদিকে হবে, তার থেকে দূরত্ব থেকে ভোটগ্রহণ করা হবে। যেন নির্বাচনের জন্য পূজার সমস্যা না হয়। পূজার জন্য নির্বাচনের সমস্যা না হয়। স্কুল বা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, এটা নিয়ে সমস্যা নেই।
একসঙ্গে ভোট ও পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃষ্ণপদ রায় বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে এমনিতেই বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। তারপরেও একাধিক অনুষ্ঠান যেহেতু আছে, সবকিছু মিলিয়ে বাস্তবতার নিরিখে যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা আমরা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
ডিএন/এজে