নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির সৈয়দপুর পৌরসভা। প্রায় ৩৪ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা ও ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভাটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
এ পৌরসভার পুরনো ভবনের ছাদে টব দিয়ে বাগান করেছেন পৌর কর্মচারী আসাদুল হক। ফুলের প্রতি ভালবাসা থেকে প্রথমে নিজ উদ্যোগে কাজটি শুরু করেন। পরে পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় ছাদ বাগান করে সফলতা পেয়েছেন।
‘ফুল যে ভালোবাসে না সে নাকি মানুষ খুন করতে পারে’- এরকম প্রচলিত প্রবাদে স্বার্থকতা হয়তোবা আছে। কিন্ত আসাদুলের ফুলের প্রতি ভালোবাসা থেকে এটি করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, কাজের ফাঁকে ফাঁকে এ ছাদ বাগানটি করেছি। অবসরে এর পরিচর্যা করে থাকি। ছাদ বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চন্দ্র মল্লিকা, গেদা, নানা জাতের গোলাপ, সিলভিয়া, ডলি, ডালিয়া, বোতাম, কসমস, সন্ধ্যা মালতি, রজনীগন্ধা, হাসনাহেনা প্রভৃতি। ছাদের বাগানটি যেমন দৃষ্টিনন্দন তেমনি সুবাস ছড়াচ্ছে পৌরসভা এলাকার আশপাশ।
সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জিয়াউল হক জানান, প্রথম প্রথম আসাদুলের ছাদ বাগানের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। পরে দেখলাম যে, সে পাগলামি করেনি। পরিত্যক্ত ছাদকে বাগানে পরিণত করেছে। যা সবার কাছে ভালো লাগছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এসএইচ