রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোর ৪ টার দিকে অচেতন অবস্থায় আবু বকর সিদ্দিক বাবুকে (৪৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় কালো দাগ রয়েছে।
তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইফতেখার ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে কলটি রিসিভ হয়নি। এরপর তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে সেটিও রিসিভ হয়নি।
এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, বাবু তেজগাঁও শিল্পঞ্চল থানার হাজতখানায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আলেয়া ফেরদৌসী অভিযোগ করে বলেন, বাবুর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় গত রাতে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। থানা পুলিশ তাকে ধরে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। এ হত্যার বিচার চাই। বাবু সন্ত্রাসী বা স্মাগলার ছিল না।
‘পুলিশ বাবুকে ধরার পর আমাদের কিছু জানায়নি। আজ বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে আসি। ’
মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বাবুর সহকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে আসেন।
আবু সাইদ নামের এক সহকর্মী বলেন, বাবু বিএফডিসির ফ্লোর ইনচার্জ হিসেবে কাজ করতেন। সকালে তেজগাঁও থানা পুলিশ আমাদের অফিসে আসে এবং বলে বাবু আত্মহত্যা করেছে। বিস্তারিত কিছু বলেনি তারা। এর আগে গত রাতে থানা থেকে একটি কল আসে। তখন বলা হয়- বাবুর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে রোকসানা আক্তার মায়া নামের এক নারী। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, ভোররাত ৪ টার দিকে বাবুকে পুলিশ অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। তার সঙ্গে শুধু তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ ছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আবু বকর সিদ্দিকের গলায় কালো দাগ রয়েছে। পরনে ছিল ট্রাউজার ও গেঞ্জি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এজেডএস/এইচএডি