রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিজ মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ ও অস্ট্রেলিয়ার কার্টেন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে ‘ঢাকা মেগাসিটির উষ্ণায়ন প্রশমন কৌশল: টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োগ’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।
শামসুল আলম বলেন, ‘আমাদের ছাদে বাগান করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতে পানি ভূপৃষ্ঠ থেকে আরও গভীরে চলে যাচ্ছে। আবার ছাদে বাগান করে সে পানি বেশি বেশি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা হাঁটতে বের হতো, কিন্তু ছাদে বাগান করার ফলে সেটাও বন্ধ হচ্ছে। ’
শামসুল আলম বলেন, ‘আমাদের হাওর এলাকায় বজ্রপাত বেশি হচ্ছে। অনেক প্রাণহানি ঘটছে। দেখতে হবে কেন সেসব এলাকায় বজ্রপাত হচ্ছে এবং এর করণীয় কী। ডেল্টা প্ল্যানের পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারলে এ শতাব্দীর শেষে আমরা পানি রপ্তানি করতে পারবো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্রেশ পানির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ’
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘ঢাকা শহরের তাপমাত্রা দেশের অন্য অঞ্চলের চেয়ে বেশি। এ অতিরিক্ত তাপমাত্রা নাগরিক জীবন ও বাস্তুসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, বিভিন্ন রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা মানুষের মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ কারণে কর্মক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এজন্য ঘনবসতি এলাকায় জলাধার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভবনের বিল্ডিং কোড মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। ’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএস’র (বিজ) চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম, কার্টেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইকনোমিক্সের অধ্যাপক ড. রুহুল সলিম, অধ্যাপক ফরিদা, মিজান খান, নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
ইএআর/আরবি/