আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১২টায় তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। তবে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে তাপমাত্রা আরও অনেকটা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তরের এই জনপদে গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধার পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর পুরো দমে আবারো শুরু হয়েছে শীত। আর এতে করে উত্তর থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে শহরে লোকজনের চলাচলও অনেকটা কমে গেছে। কনকনে ঠাণ্ডার কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। সব থেকে বেশি শীত অনুভব হচ্ছে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত। সন্ধ্যার পর চারিদিক কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে। দিনভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। ফলে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।
এদিকে, শীতজনিত রোগে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে বহির্বিভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মবর্তা রহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি। এবং সোমবার (২০ জানুয়ারি) তা কমে সকাল ৯টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এনটি