সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ভালুকা থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজের খণ্ডকালীন প্রভাষক ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য হুমায়ুন কবীর (৩০) বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবীর সাজু জানান, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভালুকা থানা পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলায় ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাদি পাঁচজন আসামির নাম উল্লেখ করেছেন। তারা হলেন- আবুল কালাম আজাদ (৪৫), ইমরান আলী (৩৩), নাজমুল (২৫), মানিক (২৮) ও আবির (২৫)।
জানা যায়, আবুল কালাম আজাদ বিগত সময়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিগত আমলে তিনি ভালুকা উপজেলা বিএনপির সদস্য এবং হবিবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আবুল কালাম আজাদ দল বদল করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আপন ভগ্নিপতি কাজীমুদ্দিন আহম্মেদ ধনু সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি পদ পান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক তালুকদারকে তুচ্ছ ঘটনায় লাঞ্ছিত করেন মামলার ১ নম্বর আসামি ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। সরলমনা বাদী ওই পোস্টটি শেয়ার করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাদিকে পেয়ে ১ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্য আসামিরা মারধর করে। এতে বাদির ডান কান মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে মামলার অভিযোগ দেখে পদক্ষেপ নেব।
বাংলাদেশে সময়: ০২৫৪ ঘণ্ট, জানুয়ারি ২০, ২০২০
একে/এনটি