মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা বাড়লেও দেখা মেলেনি সূর্যের। হিমেল বাতাস আর কুয়াশার কারণেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দিনমজুর নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সারাদিনের উপার্জনের টাকা দিয়ে সংসার চালাই। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছিনা। ফলে খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে আমাদের। একে তো শীতের কাপড়ের কষ্ট। তার ওপর কাজ কাম না করলে খাবার-দাবারের কষ্ট।
রিকশাচালক রফিকুল জানান, কয়েকদিন আগে যে ঠাণ্ডা গেল এরকম আবহাওয়া ছিল না। এখন আবহাওয়া আরও একটু পরিবর্তন হয়েছে। আগে শুধু ঠাণ্ডা ছিল এরকম ঘন কুয়াশা ছিল না। এখন একদিকে ঠাণ্ডা অন্যদিকে ঘন কুয়াশা। তাই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে মানুষ বের হচ্ছে না। আগে রিকশা চালিয়ে দিনে ইনকাম হতো ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। এখন সারাদিনে ৩০০ টাকা ইনকাম করাও খুব কষ্টদায়ক। ঠাণ্ডার কারণে আমাদের নিম্নআয়ের মানুষদের চরম কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব উদ্দীন বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে আজকের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা যায়, তীব্র শীতের কারণে গত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ঠাকুরগাঁওয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে আসমতি বেওয়া, আলেমা বেগম ও রমিজা বেওয়া নামে তিন নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত আলেমা বেগম ও রমিজার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় এবং আসমতির বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
আরএ