ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আইসিজের রায় নিয়ে আশাবাদী রোহিঙ্গারা

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
আইসিজের রায় নিয়ে আশাবাদী রোহিঙ্গারা

কক্সবাজার: রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার করা মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেবেন বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি)। এ অন্তর্বর্তীকালীন রায় নিয়ে আশাবাদী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা। নিপীড়িত রোহিঙ্গারা মনে করছেন, আইসিজের রায় তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার পথকে সুগম করবে।

জানা যায়, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে জাতিগত শুদ্ধি-অভিযান চালায় মিয়ানমার। এসময় দেশটির সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা।

এরও আগে কয়েক ধাপে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এ নৃশংসতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ২৩ জানুয়ারি রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সংঘাত যাতে আরও তীব্রতর না হয় এ জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক আদালত। আর এ অন্তর্বর্তী আদেশ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পথ সুগম করবে বলে মনে করছেন রোহিঙ্গারা।

সাধরণ রোহিঙ্গারা ভাবছেন, এ রেজুলেশনের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে এবং তারা তাদের অধিকারসহ মিয়ানমারে ফিরতে সক্ষম হবেন।

কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ আর বার্মা কাছাকাছি, তাই আমাদের যে জুলুম নির্যাতন করেছে সবকিছু বাংলাদেশ দেখেছে। বর্ডারে আছে বলেই দেখেছে। সবকিছু দেখে বাংলাদেশ সরকার আইসিজে আদালতে বিচার তুলেছে, সারা বিশ্বের সহযোগিতায় এ বিচারটি আমাদের পক্ষে করে দেবে বলে আমরা আশা করছি।

একই এলাকার আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা খুব বেশি আশা করছি, দুই-আড়াই বছর হয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশে ত্রিপলের ছাউনির নিচে কষ্ট করে বসবাস করছি। আমরা আশা করছি, ২৩ জানুয়ারির মামলা রায় আমাদের পক্ষে আসবে। এ মামলার রায়ের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাবাসন, নিরাপত্তা, হোমল্যান্ডসহ সব দাবি নিয়ে ফিরে পাবো বলে আশা করছি।  

শুধু সাধারণ রোহিঙ্গারা নন, রোহিঙ্গা নেতারাও এ মামলার অন্তর্বর্তী রায় নিয়ে আশাবাদী। তারাও মনে করছেন, এ চাপের কারণে তাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে মিয়ানমার।

কুতুপালং ক্যম্প-৪ এর সাবেক হেড মাঝি আব্দুর রহিম বলেন, আমরা আশা করছি প্রত্যাবাসন হবে। আমরা ইউএন-এর সিকিউরিটি ফোর্স নিয়ে আমরা ঘরে ফিরতে পারবো, আমরা নাগরিকত্ব ফিরে পাবো। বাংলাদেশের জন্য শুকরিয়া আদায় করছি।

আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিব উল্লাহ বলেন, ২৩ জানুয়ারির রায় আমাদের পক্ষে হবে বলে আশা করছি। এই রেজুলেশন বার্মার জন্য খুব চাপের হবে। যে চাপের কারণে বার্মাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে হবে। আমরা সেই আশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এসবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।