জানা যায়, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে জাতিগত শুদ্ধি-অভিযান চালায় মিয়ানমার। এসময় দেশটির সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা।
সাধরণ রোহিঙ্গারা ভাবছেন, এ রেজুলেশনের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে এবং তারা তাদের অধিকারসহ মিয়ানমারে ফিরতে সক্ষম হবেন।
কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ আর বার্মা কাছাকাছি, তাই আমাদের যে জুলুম নির্যাতন করেছে সবকিছু বাংলাদেশ দেখেছে। বর্ডারে আছে বলেই দেখেছে। সবকিছু দেখে বাংলাদেশ সরকার আইসিজে আদালতে বিচার তুলেছে, সারা বিশ্বের সহযোগিতায় এ বিচারটি আমাদের পক্ষে করে দেবে বলে আমরা আশা করছি।
একই এলাকার আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা খুব বেশি আশা করছি, দুই-আড়াই বছর হয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশে ত্রিপলের ছাউনির নিচে কষ্ট করে বসবাস করছি। আমরা আশা করছি, ২৩ জানুয়ারির মামলা রায় আমাদের পক্ষে আসবে। এ মামলার রায়ের মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাবাসন, নিরাপত্তা, হোমল্যান্ডসহ সব দাবি নিয়ে ফিরে পাবো বলে আশা করছি।
শুধু সাধারণ রোহিঙ্গারা নন, রোহিঙ্গা নেতারাও এ মামলার অন্তর্বর্তী রায় নিয়ে আশাবাদী। তারাও মনে করছেন, এ চাপের কারণে তাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে মিয়ানমার।
কুতুপালং ক্যম্প-৪ এর সাবেক হেড মাঝি আব্দুর রহিম বলেন, আমরা আশা করছি প্রত্যাবাসন হবে। আমরা ইউএন-এর সিকিউরিটি ফোর্স নিয়ে আমরা ঘরে ফিরতে পারবো, আমরা নাগরিকত্ব ফিরে পাবো। বাংলাদেশের জন্য শুকরিয়া আদায় করছি।
আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিব উল্লাহ বলেন, ২৩ জানুয়ারির রায় আমাদের পক্ষে হবে বলে আশা করছি। এই রেজুলেশন বার্মার জন্য খুব চাপের হবে। যে চাপের কারণে বার্মাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে হবে। আমরা সেই আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এসবি/ওএইচ/