বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ফতুল্লার ভোলাইল গেদ্দার বাজারস্থ মীরের বাড়ির পেছনে একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জুয়েল ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার মৃত আজাদ মহাজনের ছেলে।
নিহত জুয়েলের স্ত্রী সোমা আক্তার বলেন, তার স্বামী এলাকায় রিকশা গ্যারেজ দিয়ে রিকশার ব্যবসা করতেন। নিজের গাফলতির কারণে ব্যবসা নষ্ট করে কিছুদিন রিকশা চালাতেন। এমনকি মাদক সেবন করে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্টের পথে ঠেলে দেন। তাদের সংসারে দু’টি কন্যা সন্তান রয়েছে। সংসারের কথা চিন্তা না করে নিজের মন গড়াভাবে চলতে থাকেন। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার পর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বলে যান আমাকে খোঁজাখুজি করিস না, তিনি সময় মতো বাসায় ফিরে আসবেন। কিন্তু সারা রাত বাসায় ফিরে আসেনি। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পাই, তিনি একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি এর আগেও কয়েকবার ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, জুয়েল মাদকাসক্ত ছিলেন। ঠিকমতো কাজ-কর্ম করতেন না। মনের দুঃখে রাতের আঁধারে এলাকায় একটি গাছের সঙ্গে গায়ের চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহত জুয়েলের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
আরবি/