জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ব্যবসা-বাণিজ্য শাখা সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জে সাতটি উপজেলায় প্রায় ১০৩টি ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে।
শাখা সূত্রে জানা যায়, ইটভাটা নির্মাণের আগে পরিবেশ অধিদফতর থেকে অনুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হয়, যার মেয়াদকাল থাকে এক বছর। তারপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইস্যু করা হয় তিন বছর মেয়াদি লাইসেন্স।
জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদফতরের অসাধু কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থাকে ম্যানেজ করেই ভাটা মালিকরা ইট পুড়িয়ে থাকেন। ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনেকটাই অপারগ। ইটভাটা নির্মাণ-সংক্রান্ত আইনের ২০১৩ সালের ৫৯ নম্বর বিধিতে বলা আছে- আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষিজমি এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদফতর বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো আইনের অধীন কোনোরূপ অনুমতি বা ছাড়পত্র বা লাইসেন্স, যে নামেই অভিহিত হোক, প্রদান করিতে পারিবে না। এসব আইন উপেক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদফতর সরাসরি যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে। কিন্তু এ জেলায় সরকারের এসব আইন-কানুন যেন সম্পূর্ণ অকার্যকর। আইন প্রয়োগ না থাকায় এখানে যে যেভাবে পারছে যত্রতত্র নির্মাণ করে চলছে ইটভাটা। ইটভাটা অনুসন্ধান কমিটি নামে প্রতিটি জেলায় একটি করে কমিটি রয়েছে।
মানবাধিকার কর্মী ও পরিবেশবাদী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপনের ফলে একদিকে কৃষি জমি উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে অন্যদিকে জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। দ্রুত অবৈধ ইটভাটাগুলো আইনের আওতায় আনা উচিত।
এসব ইটভাটা সর্ম্পকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এএটি