বুধবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আটক বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাদেরকে জালালাবাদ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, সিলেট জেলার গোয়াইটোলা গ্রামের বাসিন্দা মো. শামীম আহমদ, মৌলভীবাজার জেলার শাষন গ্রামের বাসিন্দা বিভাষ চক্রবর্তী এবং সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার গলিশালা গ্রামের বাসিন্দা প্রান্ত দাশ।
এদের মধ্যে মো. শামীম আহমদকে শ্বেতপত্র বিলি করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন 'ই' থেকে আটক করা হয়। তিনি কুরিয়ার সার্ভিসের পরিচয় দিয়ে শ্বেতপত্র বিতরণর করতে গেলে তার কাছে ডেলিভারি ম্যানের কোন পরিচয়পত্র না থাকায় এবং আচার-আচরণে সন্দেহজনক বলে মনে হওয়ায় তাকে আটক করা হয়।
এসময় তার কাছে খামবন্দী আরো পনেরটি দ্বিতীয় কিস্তি লেখা সম্বলিত শ্বেতপত্র পাওয়া যায়। শ্বেতপত্রে উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নামে ৫৩টি অভিযোগ এনে বেনামে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এই শ্বেতপত্রে উপাচার্যসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম, স্বৈরচারী আচরণ, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের অভিযোগ আনা হয়েছিলো ।
এবিষয়ে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসামীদের ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এবি