তিনি বলেছেন, আইসিজের রায়ের ফলে তারা (মিয়ানমার) অবশ্যই চাপে পড়বে, তবে কীভাবে সেটা (চাপ) প্রয়োগ করতে হবে, তা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘আইসিজে রুলিং অন দ্য প্রোভিশনাল ম্যাজার অন রোহিঙ্গা জেনোসাইড’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন।
পড়ুন>> আইসিজের রায় মানবতার জন্য বিজয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের উদ্যোগে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আইসিজের যে রায়, তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রত্যাবাসনে আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
ভারত, চীন, জাপান মিয়ানমারের পাশে রয়েছে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পদক্ষেপ কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তারা সবার সঙ্গেই রয়েছে। আমাদের সঙ্গেও তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এ বিষয়টি (রোহিঙ্গা) সমাধানে পদক্ষেপ নেবো। তারা সমাধানে যাতে সহযোগিতা করে, সেই চেষ্টা চলছে।
এদিকে গোলটেবিল বৈঠকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এ রায় রোহিঙ্গাদের একটি বিরাট বিজয়। এতদিন মিয়ানমার রোহিঙ্গা শব্দ ব্যবহার করতো না। তারা বলতো এরা বাঙালি মুসলিম বা সন্ত্রাসী। এ রায়ের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক আইডেন্টিটি পেলো।
তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের কাজ আছে প্রচুর। এ রুলিংয়ের ইমপ্যাক্ট আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে হবে। চীন, জাপান, ভারতের সঙ্গে যখন আমরা বসবো, তখন বলা যাবে মিয়ানমার গণহত্যা করেছে। যেহেতু তারা মিয়ানমারের সঙ্গে রয়েছে।
‘অাইসিজের এটি বাইন্ডিং রুল। কত মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে, তা মেনশন করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা যতদিন নাগরিক না হবে, সবাইকে কাজ করে যেতে হবে,’ যোগ করেন অধ্যাপক ইমতিয়াজ।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কানাডিয়ান হাইকমিশনের হেড অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্ট পেড্রা মুন মরিস, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) নাহিদা সোবহান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় : ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
টিএম/এমএ