তবে গোপন হোক আর প্রকাশ্যে হোক বাজারের এসব বর্জ্য নদীতে ফেলায় দূষিত হচ্ছে পানি, ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। এ অবস্থা নিরসনে সংশ্লিষ্টদের তদারকির দাবি জানিয়েছেন নদী বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি গভীর রাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভর্তি করে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর ওপরে গিয়ে মুরগির বর্জ্য ফেলার সময় স্থানীয় তরুণদের হাতে ধরা পড়েন কয়েকজন ব্যক্তি।
পরে তরুণদের জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ রুপাতলী বাজারের ব্যবসায়ীদের মুরগির বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলার জন্য সতর্ক করেছিলেন। তাই গভীর রাতে বর্জ্যগুলো নিয়ে ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ফেলা হচ্ছে। ওই রাতে যে বর্জ্যগুলো ফেলা হচ্ছিলো তা সোহেল নামে এক মুরগি ব্যবসায়ীর দোকানের বলে জানান আটকরা।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রুপাতলী এলাকার মুরগির বিক্রির দোকানগুলোর মালিকরা তাদের প্রতিষ্ঠানের সৃস্ট বর্জ্য কোনো না কোনোভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে, জলাশয়, খাল কিংবা নদীতে ফেলেন। তবে সম্প্রতি মেয়রের হুঁশিয়ারির কারণে কেউ কেউ সতর্ক হলেও, অনেকে আবার সিটি এলাকার বাহিরে গিয়ে বর্জ্যগুলো কীর্তনখোলা নদীতে ফেলছেন।
এ বিষয়ে নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু সাংবাদিকদের বলেন, কীর্তনখোলা নদী বাঁচাতে আমরা সবাই যেখানে ঐক্যবদ্ধ সেখানে মুরগির বর্জ্যগুলো গভীর রাতে কীর্তনখোলায় ফেলায় নদী দূষণের মাত্রা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছি। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সতর্ক করে কঠোর নির্দেশনা দিতে হবে এ ব্যবসায়ীদের।
তিনি বলেন, নদী পার থেকে দোকানীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বর্জ্য ফেলে এই নদীকে বুড়িগঙ্গা করার চেষ্টা করছে। কীর্তনখোলা রক্ষা না হলে আমাদের বরিশাল নগরে বসবাস কঠিন হয়ে যাবে।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু সাইদ বলেন, মুরগির বর্জ্যের কারণে নদীর প্রাণী সম্পদে রেসিবল ইফেক্ট পরতে পারে। মুরগিগুলোকে এন্টিবায়েটিক খাওয়ানো হয়, যার প্রভাব পড়ে মৎস্য সম্পদে। তাছাড়া এ বর্জ্যগুলোতে ব্যাকটেরিয়াও রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিবেশ দূষণকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাই এসব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এমএস/এফএম