শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
এসময় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব বুলবুল, সহ-সম্পাদক ইমাম হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ব্যবসায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ ২০০৬ সালে কয়েক মিনিটের মধ্যেই যে শ্রম আইন পাস করেছিল, তা শ্রমিকদের প্রতিবাদ আন্দোলনের মুখে দীর্ঘদিনে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারাগুলো সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০১৩ সালে শ্রম আইনে আগের কিছু ধারা সংশোধন করা হলেও শ্রমিক স্বার্থবিরোধী নতুন কিছু দ্বারা যুক্ত করা হয়।
তারা আরও বলেন, ২০১৫ সালে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন এবং ২০১৮ সালে শ্রম আইন সংশোধন করা হয়। বর্তমানে বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে। আগের অভিজ্ঞতা অনুসারে দেখা যায়, শ্রমিক আন্দোলন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সমালোচনার মুখে সরকার শ্রম আইন সংশোধন করলে প্রতিটি সৌদিতে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পরিবর্তে বিভিন্ন কৌশলে শ্রমিকদের অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে।
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, শ্রম আইনের ২৩, ২৬, ২৭ ধারাসহ ও গণতান্ত্রিক ধারাগুলোর অপব্যবহার বন্ধে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন চর্চার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের কর্মচ্যুতি ও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে শ্রমিকদের মতপ্রকাশের ও সংগঠিত হওয়ার অধিকারকে সংকুচিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছরই চাকরির জন্য প্রাপ্য সুবিধাকে গ্রাচ্যুইটি এবং ক্ষতিপূরণ নামক দুই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। ঠিকাদারি, তদারকি কর্মকর্তা, মাতৃত্বকালীন সুবিধার বৈষম্য, কর্মঘণ্টা, কারখানা স্থানান্তর এবং উৎসব বোনার সংক্রান্ত বিধিতে শ্রমিকদের ঠকিয়ে মালিকদের স্বার্থ রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত এবং সামাজিক বৈষম্য নিরসনে শ্রম আইন ও বিধিমালা ও গণতান্ত্রিক ধারাগুলো বাতিলের আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
পিএস/ওএইচ/