শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ঈদগাহ মাঠ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শাহেদ বগুড়া সদর উপজেলার পূর্ব আশোকোলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় ন্যাংড়া বাজারে সেলুনে চুল কাটা নিয়ে দুই যুবকের মধ্যে ঝগড়া হয়। এদের মধ্যে একজন যুবক যুবলীগ নেতা রুবেলকে ফোন করে ডেকে আনে। রুবেল ন্যাংড়ার বাজারে পৌঁছে সেলুনের কর্মচারীদের ওপর চড়াও হয়। এসময় শাহেদের ছোট ভাই জাফরুল রুবেলকে বাঁধা দিলে রুবেল ক্ষুব্ধ হয়ে জাফরুলকে মারধর করে। পরে জাফরুল বাড়িতে গিয়ে বড় ভাই শাহেদকে ঘটনাটি জানায়। শাহেদ ঘটনা শুনে ন্যাংড়ার বাজারের দিকে আসতে থাকে। পথে নুনগোলা ঈদগাহ মাঠের কাছে রুবেল ও তার সহযোগীদের সঙ্গে শাহেদের দেখা হয়। এসময় ছোটভাই জাফরুলকে মারধরের কারণ জানতে চাওয়ায় রুবেল ও শাহেদর মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়।
একপর্যায়ে রুবেল ও তার সহযোগীরা শাহেদের বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহেদকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল তিনটার দিকে মৃত্যু হয় শাহেদের।
বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল হক ভূঞা বাংলানিউজকে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহেদকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত রুবেলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও আটকের জন্য অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এইচএডি/