শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পারভীনের মৃত্যু হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, নিহত পারভীন চলন্তিকা বস্তিতেই বসবাস করতেন। তার তেমন কোনো আত্মীয়স্বজন নেই। পারভীনের মরদেহ বর্তমানে ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টার দিকে দু’টি গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে চলন্তিকা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। অগ্নিকাণ্ডে একশ’রও বেশি ঘর আগুনে ভস্মীভূত হয়।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট।
অগ্নিকাণ্ডের পর চলন্তিকা বস্তির বাসিন্দা জোসনা বলেন, কিছুদিন পরপরই আমাদের বস্তিতে আগুন লাগে। ভোট নেওয়ার সময় নেতারা আমাদের কাছে আসে। আর আগুন লাগলে আমাদের খোঁজখবরও নেয় না ঠিক মতো।
বস্তির অপর বাসিন্দা ইয়ানুর বেগম জানান, আগুনে পুড়ে সব নিঃশেষ হওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে। হাতে গোনা অল্প কয়েকটি ঘরেরই আগুন নেভাতে পারে তারা।
চলন্তিকা বস্তির বাসিন্দা মো. হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট প্রথম আগুন লাগে এখানে। এরপর এ এলাকায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে বলা হয় নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের পুর্নবাসনের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্পের নির্ধারিত স্থান এটি। আমরাই সাইনবোর্ড টানানোর পর হাইকোর্টে রিট করেছি। ৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে আরও কিছু লোকজন মিলে মোট ১২৬ জন এই রিটের পক্ষে স্বাক্ষর করেছে। রিটে জানতে চাওয়া হয়েছে এখানে যদি বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করে ভবন করা হয় সেই ভবনে কারা থাকবে? যদি বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করে অন্য কাউকে সেই ভবনে তোলা হয় তাহলে আমরা এই জায়গা ছেড়ে দিব না। আর যদি বস্তিবাসীদের জন্য এখানে ভবন করা হয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এজেডএস/এইচজে