শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মরদেহ উদ্ধার করে বাঘা থানা পুলিশ। নিহত জাকির পদ্মার চরের আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে।
নিহতের বাবা আব্দুল খালেক জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার ছেলে জাকির বাড়ি থেকে পাশের কালিদাসখালি বাজারে ওষুধ আনতে যান। পরে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। সকালে কালিদাসখালী এলাকার মটর ক্ষেতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
বাঘার চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আজম জানান, জাকিরকে শুক্রবার রাত থেকেই তার পরিবার খুঁজছিল। শনিবার সকাল ৮টার দিকে সবজি চাষিরা মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় মটর ক্ষেতের মধ্যে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে খবর পেয়ে তিনিও ঘটনাস্থলে যান এবং জাকিরের মরদেহ চিনতে পারেন। পরে বাঘা থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার সকালে স্থানীয়রা খবর দেন, পদ্মার চরে মটরের ক্ষেতের মধ্যে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ রয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই যুবককে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা বলতে পারছেন না কেউই। ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সাথে কারো দ্বন্দ্ব ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরের মধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আপাতত কাউকে আটক করা না গেলেও থানায় হত্যা মামলা হবে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এসএস/এইচজে