শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন রিয়াজুল হক। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত ৩১ এনজিও ও ২৬ সুপ্রতিষ্ঠিত সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্লাটফর্ম মনিটরিং ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের সময় যদি কোনো রোহিঙ্গা ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে হবে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভোটারদের ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে সব বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, নির্বাচনে শেষে যে সব প্রার্থী জয়লাভ করে অনেকাংশেই পর্যবেক্ষকরা তাদের পক্ষ অবলম্বন করে। এটা ঠিক না। নিজেদের অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজসহ বিভিন্ন এনজিও ও নিবন্ধিত সংস্থার প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নির্বাহী পরিচালক ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মো. আবেদ আলী বলেন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সদস্য ১০টি সংগঠনের ৫ শতাধিক পর্যবেক্ষক ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণে থাকবেন। তারা নিজ অবস্থান থেকে কাজ করবেন ও নির্বাচনের সব তথ্য সংগ্রহ করবেন। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
পিএস/এইচজি