এরফলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়ে চীনের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটানসহ অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে শত শত পাসপোর্ট যাত্রী। এতে করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এই অঞ্চলের মানুষদের।
ভারত থেকে আসা বেশ কয়েকজন পাসপোর্ট যাত্রী বাংলানিউজকে জানান, চীনে রহস্যজনক একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এই কথা বিভিন্নভাবে শুনেছি। যেহেতু চীনের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ছাড়াও নেপাল ও ভুটান আছে। অনেক বাংলাদেশি হিলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে ঘুরতে যাচ্ছে। তাই হিলি চেকপোস্টে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী বাংলানিউজকে জানান, হিলি চেকপোস্টের গুরুত্ব ভেবে এই আশঙ্কার কথা ইতোমধ্যে দিনাজপুর সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। তিনি ঢাকায় জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে হিলি চেকপোস্টে মেডিক্যাল টিম গঠন করে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের শারীরিক স্ক্রিনিং (পরীক্ষা) করা হবে। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ে এই ধরণের কোনো নমুনা পাওয়া যায়নি। এজন্য আমরা এখনো পর্যন্ত স্বস্তিতে আছি।
তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্র রোগ। প্রধান লক্ষণ জ্বর। এর সঙ্গে সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ থাকে। এই ভাইরাসের সঙ্গে প্রাণঘাতী রোগ সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) মিল রয়েছে। শ্বাসতন্ত্রের অসুখ হাঁচি-কাশি একজন থেকে অপরজনে সংক্রমিত হতে পারে। এই ভাইরাস যদি একজন থেকে অপরজনের মধ্যে ছড়ায় তাহলে অতি দ্রুত সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়ে ৩ শতাধিক যাত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট দিয়ে যাওয়া-আসা করেন। এদের অনেকে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানেও ঘুরতে যান। এসব দেশ আবার চীনের পার্শ্ববর্তী। শুনেছি চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই ভাইরাস প্রতিরোধে হিলি চেকপোস্ট এলাকায় এখনো পর্যন্ত মেডিক্যাল টিম স্থাপন করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এনটি