ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ হাসিনায় আস্থা ৮৬ শতাংশ জনতার, বিএনপিতে সন্তুষ্ট ৬ শতাংশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
শেখ হাসিনায় আস্থা ৮৬ শতাংশ জনতার, বিএনপিতে সন্তুষ্ট ৬ শতাংশ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরই দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষের আস্থা আছে বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিএনপির কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ। আর আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর সন্তুষ্ট ৮৫ ভাগ জনতা। 

রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ জরিপ পরিচালনা করে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) তারা জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তা প্রকাশ করে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দৈবচয়ন পদ্ধতিতে মোবাইল কলের মাধ্যমে এ জরিপ করা হয়। এতে অংশ নেন ২ হাজার ২৬৬ জন। তবে কল করা হয় ৮ হাজার ৩৯ জনকে। এর মধ্যে কল ধরেন ৫ হাজার ৪২৯ জন। যারা কল ধরেন তাদের মধ্যে মতামত দেন ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ।  

রিসার্চ ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত এক বছরের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।  

জরিপের ফল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মাত্র তিন শতাংশ।  

গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ভাষণে দেশবাসীকে তার ওপর আস্থা রাখতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তারা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখেন। মাত্র তিন শতাংশ আস্থাহীনতার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া ১১ শতাংশ কোনো মতামত দেননি।

এ জরিপে সবচেয়ে কার্যকর মন্ত্রণালয় হিসেবে ৩০ শতাংশ উত্তরদাতা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ২৮ শতাংশ উত্তরদাতা যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়, ১৬ শতাংশ উত্তরদাতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ৯ শতাংশ উত্তরদাতা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাকিরা অন্য মন্ত্রণালয় বেছে নিয়েছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করতে চাননি। ২৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপির কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মাত্র ছয় শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপির কার্যক্রম সন্তোষজনক দাবি করেছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির ব্যাপারে উত্তরদাতাদের মধ্যে আগ্রহ কম পরিলক্ষিত হয়েছে।

জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ৩২ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন বিরোধী দল থাকার প্রয়োজন নেই। ২০ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।

জরিপে দেখা যায়, দক্ষতা সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের সব বিভাগকে প্রাধান্য দিয়ে ২০ হাজার নারী-পুরুষের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ১১ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। ৮ হাজার ৩৯ জন মোবাইল ব্যবহারকারীকে টেলিফোন করলে জরিপে ৫ হাজার ৪২৯ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ২৬৬ জন অর্থাৎ ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের মতামত দেন।

১০ জন রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট সরাসরি জরিপে অংশ নেন। এ তথ্য সংগ্রহ করে জরিপকারীদের ১৮ প্রশ্ন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রিচার্স ইন্টারন্যাশনালের চিফ কো-অর্ডিনেটর অফিসার ও গবেষক কাজী আহমদ পারভেজ, বিইউপি ও বাউস্টের খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০ 
পিএস/এফএম/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।