রোববার (২৬ জানুয়ারি) বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাশ পটুয়াখালীর সুবিদখালী উপজেলর ভয়াং এলাকার লতিফ খানের ছেলে ও নিহত মালার মামাতো ভগ্নিপতি।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাশের ভাগ্নি জামাই বরগুনার আমতলীর বাসিন্দা আইনজীবী মইনুল হোসেন বিপ্লব এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন পলাশের সহকারী রিয়াজ। এদের দু’জনকে মরদেহ লুকানো চেষ্টার অপরাধে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় মামলাটি থেকে খালাস পেয়েছেন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ওই আইনজীবী বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় মালাকে নিয়ে আমতলীতে মইনুল হোসেন বিপ্লবের (পলাশের আত্মীয়) বাসায় বেড়াতে যান পলাশ। তিনদিন সেখানে অবস্থান করেন তারা। পরে ২৪ অক্টোবর দুপুরে মালা পলাশকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু পলাশ এতে রাজি না হওয়ায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মালাকে ধর্ষণ শেষে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পলাশ। পরে মরদেহটি লুকানোর জন্য সাত টুকরো করে ওই বাসার বাথরুমের মধ্যে দু’টি ড্রামে ভরে রাখে। তবে সেসময় ওই বাসায় কেউ ছিল না।
গোপন সংবাদ পেয়ে ওইদিন বিকেলেই আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে ড্রাম থেকে সাত টুকরো করা মরদেহ উদ্ধারসহ পলাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার দিন রাতে বিপ্লব এবং পলাশের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।
বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বাংলানিউজকে জানান, মালাকে ধর্ষণ ও হত্যা দায়ে পলাশের মৃত্যুদণ্ড ও মরদেহ লুকানোর দায়ে তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একই মামলায় আইনজীবী বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মরদেহ লুকানোর দায়ে যাবজ্জীবন এবং মরদেহ লুকানোর দায়ে রিয়াজকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে এ মামলায় আসামি বিপ্লবের স্ত্রী ইমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। তাই উচ্চ আদালতে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এসআরএস