চা শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে দৈনিক নগদ মজুরি ন্যূনতম ৪শ’ টাকা নির্ধারণসহ ন্যায্য মজুরি ও সামাজিক নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করার দাবিতে রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন হবিগঞ্জ জেলা।
বক্তারা আরও বলেন, ১৭০ বছর আগে প্রতারণা ও মিথ্যা আশ্বাস দেখিয়ে ভারতবর্ষের উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উরিষ্যা, মাদ্রাজসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষকে নিয়ে আসা হয় চা বাগানে। সূচনা লগ্ন থেকেই বৃটিশরা শ্রম আদায় করে নিলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি শ্রমিকদের।
বৈঠকে শ্রমিকদের ব্যাপক দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরে দ্রব্যমূল্য, পে স্কেল, জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন বিবেচনা করে চা শ্রমিকদের দৈনিক নগদ মজুরি ৪শ’ টাকা দেওয়া, রেশন হিসেবে প্রত্যেক শ্রমিককে সপ্তাহে ৫ কেজি করে এবং নির্ভরশীলদের জনপ্রতি সপ্তাহে ৩ কেজি করে চাল এবং প্রতি শ্রমিককে মাসে ২ কেজি চা পাতা, মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক কাজের নিরিখ বৃদ্ধি না করা, নিরিখের অতিরিক্ত প্রতি কেজি কাঁচা পাতা উৎপাদনের জন্য এবং ছুটির দিনে কাজের জন্য দ্বিগুণ হারে মজুরি দেওয়া, চাষাবাদের জন্য প্রদত্ত জমির জন্য সরকার নির্ধারিত ভূমি করের অতিরিক্ত মূল্যের রেশন না কাটাসহ ৭ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আহসান হাবিব বুলবুল, সিপিবি হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি কমরেড হাবিবুর রহমান, বাসদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমদ, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রনধীর দাশ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা রফিক, হবিগঞ্জ সুজনের সভাপতি চৌধুরী মিজবাউল বারী লিটন, শ্রমিক নেতা রাহাত আহমেদ ও ন্যাপ এর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমেদসহ বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিক নেতা এবং সাধারণ শ্রমিকবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
আরএ