মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতরা হলো- পিংকি সু স্টোরের মালিক সুভাষ রায় (৬৫), তার মেয়ে প্রিয়া রায় (১৯)। সুভাষ রায়ের ভাই মনা রায় (৫৪) ও তার স্ত্রী দিপ্তী রায় (৪৮) এবং সুভাষ রায়ের শ্যালক সজল রায়ের স্ত্রী দিপা রায় ও মেয়ে বৈশাখী রায় (৩)।
এ ঘটনায় নিহত সুভাষ রায়ের ছোট ভাই মনা রায় (৬০) সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেন্ট্রাল রোডে ওই দু’তলা ভবনের নিচতলায় সুভাষ রায় পিংকি সু-স্টোর নামে একটি জুতার দোকান পরিচালনা করতেন এবং দ্বিতীয় তলায় ভাইসহ পরিবার নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন। নিহতদের মধ্যে দিপা রায় ও বৈশাখী সুভাষের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। তারা হবিগঞ্জের উমেদনগরের বাসিন্দা।
জানা যায়, সুভাষ রায়ের মেয়ের পিংকির বিয়ে গত ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ে উপলক্ষে আত্মীয়রা বাসায় আসেন। সোমবার
(২৭ জানুয়ারি) মেয়ের বউভাত শেষে বাসায় ১২জন সদস্য অবস্থান করেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ভবনের নিচতলায় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় ক্লান্ত সবাই তখন ঘুমে ছিলেন। আগুন টের পেয়ে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের ৭ জন আশপাশের বাসিন্দাদের সহায়তায় বেরিয়ে আসেন। কিন্তু ভয়াবহ আগুনের কবলে আটকা পড়েন ৫ জন। ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।
মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক আব্দুল আল বাসার বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে শ্রীমঙ্গলে আরো ৩টি ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। ৫টি ইউনিট মিলে দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পরে ভবনের ভেতর থেকে ৫ জনের মরদেহ বের করা হয়।
তিনি আরো জানান, এখনই নিশ্চিত করে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত তা বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিস্তারিত অনুসন্ধান করা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিকা দে বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
আরএ/এসএইচ