শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে পাখিউড়া সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১০৩৯-এর সাব পিলার ৪ ও ৫টি-এর মাঝামাঝি এ ঘটনা ঘটে। নিহত জামাল নারায়ণপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাখিউড়ার কালারচর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ গুলিবিদ্ধ হয়ে জামাল হোসেনের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার ব্যাপারে নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান ও এলাকাবাসী জানান, শনিবার ভোররাতে গরু পাচারের উদ্দেশ্যে আরও কয়েকজনের সঙ্গে পাখীউড়া সীমান্তে যান জামাল হোসেন, সে সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে জামালের বুকের বামপাশে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় সহযোগিরা তাকে ঘটনাস্থলে থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
জামালের পরিবার জানায়, এরপর গুরুতর আহত জামালকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বিকেলের দিকে ঘটনা জানাজানি হলে ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ জামালের বাড়িতে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
বিএসএফের গুলিতে তরুণ নিহতের ব্যাপারে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২২ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোহাম্মদ জামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নারায়ণপুর সীমান্তের পাখিউড়া বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) অধীন সীমান্তে এক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া গেছে বলে জানতে পেরেছি। গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও কীভাবে এবং কার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এফইএস/এইচজে