ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি

ঢাকা: দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পদ্যোক্তা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেছেন, যাত্রা শুরুর দশ বছর হতে চলেছে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের। এই পত্রিকাটির কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। একটা সময় ছিল বাংলাদেশ প্রতিদিন কি লিখলো আর লিখলো না, তাতে কিছু যেত আসতো না, ভাবতোও না। কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে এখন মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। নিউইয়র্ক এবং লন্ডনেও বাংলাদেশ প্রতিদিন ১ নম্বর পত্রিকা।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি সম্মেলনে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, পাঠক প্রতিদিনই খবরে কিছু পরিবর্তন চায়।

শত শত পত্রিকা হারিয়ে গেছে। পত্রিকা, অনলাইন, টেলিভিশন, রেডিওর প্রতিযোগীতামূলক বাজারে টিকে থাকা একটি কঠিন ব্যাপার। বিশেষ করে বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে মানুষের প্রত্যাশাটাও অনেক বেশি।

‘১৯৯৮ সালে বসুন্ধরা সিটি নির্মাণের সময় কোরিয়ার একটি পত্রিকায় খবর বের হয়েছিলো ১০ বছরেও এই বিল্ডিং করা সম্ভব না। বাই দ্য গ্রেস অব অলমাইটি, আমরা সেই বিল্ডিং একবছরে করেছিলাম। আমরা মানুষকে দেখিয়েছিলাম। ওই সময়টা নিঃসন্দেহে আকাশচুম্বী একটা স্বপ্নই ছিল। ’

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আরও বলেন, বসুন্ধরা সিটির স্থপতি পলাশকে আজকে আরেকটা বিল্ডিংয়ের নকশা দেওয়া হলো। তিনি তখন বললেন, আপনাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি।

সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, কারো বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার আগে সম্পাদকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। অনেক সময় দেখা যায়, একজনের পক্ষ হয়ে আরেকজনকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা কখনোই সহ্য করা হবে না। আমি চাই অপ্রিয় হলেও সত্য প্রকাশ হোক। বাংলাদেশ প্রতিদিন অনেক নিউজ করেছে। যেগুলো কারও পছন্দ হয়নি। কিন্তু নিউজগুলো ছিল বাস্তব এবং সত্য।  অনেক পত্রিকা হারিয়ে গেলেও শতবছরের পুরোনো পত্রিকাও এখনো টিকে আছে। লন্ডনের টাইমস, ফিন্যান্সিয়াল নিউজ, আমেরিকার ওয়াশিংটন টাইমস, এরা আজও সদর্পে দাঁড়িয়ে আছে।

তিনি বলেন, অনলাইন, টেলিভিশন থাকার পরও প্রিন্ট মিডিয়ার যে একটা আবেদন সেটা কিন্তু এখনো আছে। আমাদের টিকে থাকতে হবে। বাংলাদেশ যতদিন আছে ইনশাল্লাহ আমরাও টিকে থাকবো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। আমাদের পত্রিকাটি হবে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং। দেশের ভালোগুলো বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হবে।

‘অনলাইনে ১৮১টি দেশে বাংলাদেশ প্রতিদিন দেখা যায়। সুতরাং ভালো কিছু বাংলাদেশ প্রতিদিন লিখলে সেটা ১৮১টি দেশের মানুষ দেখতে পায়। দেশের ভালো আমাদের প্রচার করতে হবে। একটা সময় ছিল নেগেটিভ না লিখলে পত্রিকা চলতো না। কিন্তু ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া পুরো পজিটিভ। আমরা সরকারের সমালোচনাও করি, সরকারের ভালো দিকগুলোও তুলে ধরি। সরকার যেসব জিনিসে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সেসব বিষয়ে আমরা আগেই সচেতন করি। আলো থাকলে আলো হবে, অন্ধকার থাকলে অন্ধকার হবে। ’

এসময় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, গত এক বছরে যারা ভালো করেছেন তাদের মধ্য থেকে দশজন প্রতিনিধিকে পুরস্কৃত করা হবে। ঢাকা অফিসেরও দশজন পাবেন এই পুরস্কার। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ১লাখ টাকা ও সনদ প্রদান করা হবে। আগামী দিনে আরও ভালো করার উৎসাহ দিতে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হবে। পত্রিকার মান অনেক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আপনাদেরও উন্নতি করতে হবে। মনেপ্রাণে আমি সেটাই কামনা করি। আপনারা সবাই বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিজের পত্রিকা মনে করে কাজ করবেন। আমরা কিছুদিনের মধ্যে খেলাধুলা বিষয়ক নতুন টেলিভিশন তিতাস চালু করতে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আমাদের আরও টেলিভিশন হতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য, শিশুদের জন্য। আরও অনেক কিছুই হয়তো বসুন্ধরা গ্রুপ কর‍ার চেষ্টা করবে। সাউথ এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্পোটর্স কমপ্লেক্স বসুন্ধরা করতে যাচ্ছি। বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য এটাও গর্বের ব্যাপার। খাওয়া, পড়ার পরেই মানুষের স্পোটর্সের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এখন সুস্থ থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রতিনিধি সম্মেলনের সঞ্চালক বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, অনলাইনগুলোর একচেটিয়ে দাপট, বিজ্ঞাপনের বাজার সংকুচিত হওয়ায় দেশের প্রিন্ট মিডিয়া কঠিন সময় পার করছে। এই সময়ে একটি পত্রিকা কীভাবে টিকে থাকবে তার জন্য সম্মিলিতভাবে সবাইকে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন যেন আরও অনেক বেশি সাফল্য পায় সেই আশা ব্যক্ত করেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান। বিপদে আপদে চেয়ারম্যানকে পাশেই পাবেন। টেরও পাবেন না, কিন্ত কাজটি ইবাদতের মতো করেন। সাংবাদিকতা থ্যাংকসলেস জব। এখানে ভালো করাটাই স্বাভাবিক, পুরস্কৃত হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। এটা গভীর দেশ প্রেম, সত্যের অনুসন্ধান।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ প্রতিদিনের যুগ্ম-সম্পাদক আবু তাহের, উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, অনলাইন ইনচার্জ শামসুল হক রাসেল, মফস্বল সম্পাদক শায়খুল হাসান মুকুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এসই/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।