ঢাকা: ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশে যে নৃশংসতা চালিয়েছে তা ভোলার নয় এবং এ ব্যথা চিরদিন থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন তিনি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।
মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গণহত্যার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭১ সালের ঘটনা ভোলার নয়। এ ব্যথা চিরদিন থাকবে।
বঙ্গবন্ধুর ওপর তৎকালীন পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার নথি নিয়ে প্রকাশিত ‘সিক্রেট ডক্যুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সবাই এই বই থেকে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত অনেক ঐতিহাসিক সত্য জানতে পারে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ উর্দু সংস্করণ পাকিস্তানে অন্যতম বেস্ট সেলার বই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানেও এটি অধিক পঠিত বই।
রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট পৌঁছে দেন। শেখ হাসিনাও রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শুভেচ্ছা জানান।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নের মিরাকল সম্পর্কে জানতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে ফরেইন অফিস কনস্যুলেশন সক্রিয় করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চান পাকিস্তানের হাইকমিশনার। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটি নিয়মিত করতে এখানে কোনো বাধা নেই।
ইমরান আহমেদ বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়—এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিশ্বাস করেন।
বিশ্ব অঙ্গনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
এমইউএম/এমজেএফ