ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘মৌলবাদীদের মূলোৎপাটন করা সম্ভব নয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
‘মৌলবাদীদের মূলোৎপাটন করা সম্ভব নয়’ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ৩০ বছর জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করেছে। তাই মৌলবাদীদের শেকড় অনেক গভীরে।

এজন্য এদের মূলোৎপাটন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদের মূলোৎপাটন করার জন্য জাতি কিভাবে ঐক্যবদ্ধ সেটা নিশ্চয় আপনারা লক্ষ্য করেছেন। বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য। তাই আমরা কোনো পর্যায়েই ওদের বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নেই নি। আমাদের চেতনা দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিতে উজ্জীবিত হয়েই রাজনৈতিকভাবে এই বিষফোঁড়া উপড়ে ফেলার জন্য ঐক্যবদ্ধ রয়েছি।  

তিনি বলেন, পাকিস্তান হানাদারবাহিনী যখন নিশ্চিত হয়েছিল পরাজয় ছাড়া তাদের কোন বিকল্প নেই, তখন স্বাধীন বাংলাদেশ যেন একটা অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র হয় সেই উদ্দেশ্য নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে, তাদের খুঁজে বের করে হত্যা করেছে। দেশকে মেধাশূন্য করতেই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।

রাজাকারদের তালিকা কবে প্রকাশ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে রাজাকারদের তালিকা তৈরি করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল। আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না। ১৫ দিন আগে আমাদের মন্ত্রিসভায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করে রাজাকারদের তালিকা করার জন্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। আগামী সংসদে আইনটি পাশ করলে আইনগত ভিত্তি পাবে। তখনই আমরা রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করবো।  

এই তালিকা করার সময় যাতে কারও প্রতি আক্রোশের বশবর্তী না হই, আবার কারও প্রতি বাড়তি ফেভার বা আনুকূল্য দেখিয়ে যেন বাদ দেওয়া না হয়, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আমরা যেন তৃণমূল থেকে এ তালিকা করতে পারি, আইন পাস করার পরে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, নিশ্চয় আপনারা জানেন, সরকারপ্রধান নীতি নির্ধারণ করেন। উনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলা না হবে সেইপর্যন্ত কেউ যদি এ বিষয়ে বলে সেটা তার ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা বলতে পারেন। তবে আইন হোক বা না হোক, আমরা ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে ঘৃণা করি, প্রত্যাখান করি ও এর বিরোধিতা করি।

এর আগে সোমবার ভোর ৭টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

সকাল ৭টা ১০ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানায় তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
এমএমআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।