ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: তোফায়েল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: তোফায়েল বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ভোলা: সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আজকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়েও এদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, সৌদি আরব, জেদ্দায়, তিউনিসিয়া, মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে মুসলিম নেতাদের ভাস্কর্য আছে।

সুতরাং যারা ভাস্কর্য নিয়ে বিরোধীতা করে, তারা সত্যিকার অর্থেই  বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোলা শহরে মানববন্ধন ও সভায় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

প্রতিবাদ সভায় তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরদিন বাঙালি জাতির হৃদয়ের মনি কোঠায় বিরাজ করছেন, চিরদিন বিরাজ করবেন। যতদিন বাংলার মাটি ও মানুষ থাকবে ততদিন তিনি মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করবেন।  

তিনি বলেন, যারা ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণীর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।  

জিয়াউর রহমানকে স্বৈরশাসক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলেই আজ এ অবস্থা। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তাদেরও ক্ষমা করেছিলেন।  

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে যারা ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতার দু’দিন আগে এই কৃতি সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৮ ক্ষমতায় এসে আমরা ২০০৯ সালে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। ইতোমধ্যে অনেককে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছে।  

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দোস্ত মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ স্থানীয় নেতারা।

মানববন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।