ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২১
ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: পূর্বাশা টেক্সটাইল কোম্পানির কর্ণধার আলী হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী এক নারী। একইসঙ্গে বিচার না পেলে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না বলেও জানান ভুক্তভোগী ওই নারী।



শনিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ পারভিন বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আমার চাকরি চলাকালে ভালুকার পূর্বাশা টেক্সটাইল লিমিটেডের একটি নতুন ফ্যাক্টরির জন্য আমাদের কোম্পানি থেকে পণ্য ক্রয়ের আদেশ দেওয়া হয়। এ সময় ওই কোম্পানির কর্ণধার আলী হোসেনের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরায় গ্রাহক হিসেবে আমার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ২০১৮ সালে ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় আলী হোসেন তার উত্তরার অফিসে আমাকে পণ্য ক্রয়ের আদেশ দেবেন বলে ডেকে নিয়ে যান। পরে তিনি সেখানে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং গোপনে ভিডিও ও ছবি ধারণ করেন। কিছুদিন পরে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আলী হোসেন আমাকে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত লুবানা হাসপাতালে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমার গর্ভপাত ঘটান।  এরপর থেকে আলী হোসেন আমাকে ভয়-ভীতি দেখান এবং কাউকে এ ঘটনা বললে আমার সন্তানসহ আমাকে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দেন। আমি ভয় ও লোকলজ্জা এবং সন্তানের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন রাখি। এরপর ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শে উত্তরা পশ্চিম থানায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। মামলা করার পর তার লোকজন আমাকে এবং আমার সন্তানকে মেরে ফেলার জন্য ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। আমি ভয়ে সন্তানসহ নানা জায়গায় আত্মগোপন করে আছি। আলী হোসেন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাকে বিভিন্নভাবে এবং পরিবারের সদস্যদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন।

তিনি জানান, আলী হোসেন ও তার লোকজনের ভয়ে আমার বৃদ্ধ মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। আসামি ও তার লোকজন প্রভাব বিস্তার করে আমার দায়ের করা মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে লুবানা হাসপাতাল আমাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করছেন না। থানা পুলিশের কাছ থেকেও আমি আশানুরূপ কোনো সাড়া পাচ্ছি না।

তিনি আরও জানান, আলী হোসেনের লোকজন আমাকে কল করে হুমকি দিচ্ছে যে, ‘পুলিশ কেনা হয়ে গেছে। মামলা ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার পর তুই কেমনে বেঁচে থাকিস আমরা দেখে নেবো। আমি যাতে ন্যায় বিচার পাই এ জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।