ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শোধনাগার উদ্বোধনের দেড় মাসেও সুপেয় পানি পাননি পৌরবাসী

জিসান আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
শোধনাগার উদ্বোধনের দেড় মাসেও সুপেয় পানি পাননি পৌরবাসী ছবি: বাংলানিউজ

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা শহরের ছাগলফার্ম এলাকায় পানি শোধনাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে গত বছরের ১৪ নভেম্বর। এটি উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান বলেছিলেন, এ প্রকল্প উদ্বোধনের ফলে আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু গত দেড় মাসেও সেই বিশুদ্ধ পানির ছিটেফোটাও পাননি পৌর এলাকাবাসী। কবে মিলবে তাও কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না।

উদ্বোধন হওয়া এই শোধনাগার থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫০ ঘণমিটার পানি শোধন করা হবে। যা চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসীর সুপেয় পানির চাহিদা ৬০ শতাংশ মেটাতে সক্ষম। প্রকল্পটিতে ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি টাকা।
 
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পানি সুপার আব্দুর রশিদ জানান, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে বর্তমানে গ্রাহক রয়েছেন ৬ হাজার ৭৭৫ জন। প্রতিদিন পৌর এলাকার গ্রাহকদের পানির চাহিদা রয়েছে ৭৫ লাখ লিটার। এই শোধনাগারের মধ্য দিয়ে পৌরবাসীকে দুই ভাগে বিভক্ত করে এই সুপেয় পানি সরবরাহ করার কথা ছিল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছিলেন, এ উন্নয়ন প্রকল্পটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।  

উদ্বোধনের ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই গোটা পৌর এলাকায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পানি সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। গত দেড় মাসে সেই সুপেয় পানি পাননি পৌরবাসী। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ সুস্পষ্টভাবে কিছু বলতেও পারছেন না।  

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, বিশেষ উদ্দেশে তড়িঘড়ি করে মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌদুরী জিপু প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। ভোটের হিসাবও ছিল উদ্বোধনের পেছনে। কিন্তু বর্তমান মেয়র পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচনও করতে পারেননি। আর এ কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সুপেয় পানি সরবরাহ।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মসজিদপাড়ার বাসিন্দা রফিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত। পৌর কর্তৃপক্ষ পাইপের মাধ্যমে যে পানি সরবরাহ করে তা খাবারের অযোগ্য তো বটেই, অন্য কাজেও ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু মাস শেষে ঠিকই বিল দিতে হয়।

পলাশপাড়ার বাসিন্দা সোবহান আলী বাংলানিউজকে বলেন, গণমাধ্যমের সুবাদে পৌর কর্তৃপক্ষ সুপেয় পানি সরবরাহের খবরটি জানতে পেরেছিলাম। উদ্বোধনের ১০ দিনের মধ্যে সরবরাহ করার খবরও জেনেছিলাম। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বাংলানিউজকে বলেন, পানি শোধনাগারের প্রকল্পটির কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। সব ধরনের কাজ শেষে হলে অচিরেই সুপেয় পানি সরবরাহ শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।