ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ড্রেজিংয়ের সেই বালু সরিয়ে ফেলার নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
ড্রেজিংয়ের সেই বালু সরিয়ে ফেলার নির্দেশ কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন করেন

কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুর হাইটুপী এলাকায় বাঁকখালী নদী ড্রেজিং করে নদীর বুকে রাখা সেই বালু দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন শেষে রামু উপজেলা প্রশাসনকে এ নির্দেশনা দেন।

রোববার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এ ‘নদীর বালু নদীতে রেখেই চলছে ড্রেজিং’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পরই জেলা প্রশাসন দ্রুত বালু সরানোর উদ্যোগ নেয়।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বাংলানিউজকে জানান, এটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। কক্সবাজার-রামু দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষের স্বার্থ এই বাঁকখালী নদীর সঙ্গে জড়িত। তাই এই প্রতিবেদনটি আমরা ইতিবাচকভাবেই নিয়েছি।

তিনি বলেন, নদীর বুকে রাখা বালিগুলো সেখান থেকে দ্রুত সরিয়ে অন্যত্র রাখা হবে। এ জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানেই বালুগুলো সরানো হবে।

উল্লেখ্য, বাঁকখালী নদী ড্রেজিং ও খনন করে  নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নৌ-চলাচলের পথ সুগম করা, দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে সাগরের নৌকা/ট্রলারের নিরাপদ অবস্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পোতাশ্রয় হিসাবে বাঁকখালী নদী ব্যবহার করা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নদী ভাঙনের হাত থেকে ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য ২০১৬ সালে প্রায় ১৯৫ কোটি ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প নেয় কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

প্রকল্পে নদী ড্রেজিং ছাড়াও রয়েছে, ৪.৬৫০ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ, তিন কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ/পুনরাকৃতিকরণ, ২টি রেগুলেটর নির্মাণ ও ১২ কিলোমিটার খাল পুনঃখননের কাজ।

২০১৬ সালের জুনে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে লাখ লাখ মানুষের অতিগুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটি কাজ চালানো হচ্ছে যেনতেনভাবে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য নদী থেকে স্ক্যাভেটর দিয়ে বালু তুলে সেই বালু রাখা হচ্ছে নদীর বুকেই। আবার সেই বালু নিয়ে যাওয়ার জন্য নদীর তলদেশ ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে ট্রাক চলাচলের রাস্তা। এ অবস্থায় বর্ষা ঘনিয়ে আসায় ড্রেজিংয়ের সিংহভাগ বালু নদীতেই তলিয়ে যাবে। এমন আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রামু শাখার নেতারা।

এমনকি সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কাজ নানান অনিয়মের মধ্য দিয়ে যেনতেনভাবে চললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই বলে জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
এসবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।