ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জামাই নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, শাশুড়ি গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
জামাই নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, শাশুড়ি গ্রেফতার ফেসবুক থেকে নেওয়া

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ী গ্রামে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় জামাইকে নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।  

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাণীশংকৈল থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত যুবক নাসিরুলের বাবা খলিলুর রহমান।

মামলায় নাসিরুলের শ্বশুর করিমুল ইসলাম (৩৫) শাশুড়ি সেলিনা আক্তার (৩০) চাচা শ্বশুর জবদুল (৫০), মামা শ্বশুর রাব্বুল হোসেন (৪৫) মামি শাশুড়ি মরিয়মকে (৩৮) আসামি করা হয়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় যান নাসিরুল। তখন ভাংবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের কাঁঠাল গাছের সঙ্গে তাকে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন মেয়ের মা ও মেয়ের পরিবারের লোকজন। নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।  

পরে পুলিশ শুক্রবার দুপুরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে নির্যাতিত যুবক নাসিরুল ইসলামের শাশুড়ি সেলিনা আকতারকে আটক করে। পরে মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁও আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
সেলিনা আকতার গ্রেফতারের আগে সাংবাদিকদের বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর নাসিরুল আমার মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়ভাবে সমাধানের আশ্বাসে ছেলে মেয়েকে ঢাকা থেকে ফেরত নিয়ে আসা হয়। আমরা নাসিরুলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেব না জানিয়ে দিলেও নাসিরুল আমাদের বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করে। তাই তাকে ধরে মেরেছি।  

সেলিনা আকতার মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, তাকে তেমন মারধর করা হয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া ভিডিওতে মারধরের দৃশ্য দেখালে তিনি নিরব থাকেন।

এদিকে থানায় মামলা দায়েরের এজাহারে উল্লেখ করা হয়- নাসিরুলকে সংঘবদ্ধভাবে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়। তাছাড়া বুক পকেটে থাকা নগদ ২২ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন নিয়ে নিয়েছে নাসিরুলের শ্বশুর করিমুলের লোকজন। নাসিরুলকে অমানবিকভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেছে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার নাসিরুল ইসলাম (২৬) এবং তার ভাই কুদ্দুস দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে আজ তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এস আই) প্রদীপ বলেন, নাসিরুলকে নির্যাতনের ঘটনায় একজন আসামিকে গ্রেফতার করে ঠাকুরগাঁও আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।