বরিশাল: ‘সেদিন মধ্যরাত ৩টার দিকে বিকট এক শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লঞ্চের সব বাতিগুলোর আলো নিভে যায়।
বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহিউদ্দিন খান এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার রাতে কথা স্মরণ করে এসব কথা বলেন।
বরগুনার পাথরাঘাটা উপজেলার এই বাসিন্দা আরো বলেন, আমি কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই যাত্রীরা আগুন আগুন বলে ছোটাছুটি শুরু করেন। লঞ্চের সবাই এতটাই আতঙ্কিত ছিল যে কেউ আগুন নেভানোর ন্যূনতম চেষ্টা পর্যন্ত করেননি।
আর নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর কিভাবে সাঁতরে ভেসে ছিলাম আর কিভাবে তীরে আসলাম, কীভাবে বাঁচলাম তার কিছুই মনে নেই। তবে, গ্রামবাসী আমাকে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারপর সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তার মতে, লঞ্চের বিভিন্ন স্থানের গেট আটকানো না থাকলে হয়তো অনেক মানুষ বেঁচে যেত।
মহিউদ্দিন খান ঢাকার মোহাম্মদপুরে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। প্রায় ৫ মাস পর ৭ দিনের ছুটিতে স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তানের সঙ্গে সময়কাটাতে আসছিলেন তিনি।
আহত মহিউদ্দিনের শ্যালক মিরাজ হোসেন জানান, ঘটনা শোনার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দুলাভাই হাসপাতালে ভর্তি। আর এ খবর শুনেই আপা অসুস্থ হয়ে পরেন, ভাগনেরা তেমন একটা ভালো নেই।
এর আগে, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা অন্তত ৪৩ এর গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এমএস/এএটি