ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাজতে থাকা ধর্ষকের ফাঁসি চেয়ে মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
হাজতে থাকা ধর্ষকের ফাঁসি চেয়ে মানববন্ধন মানববন্ধন। ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির (১৩) এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মানিক (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করে মানববন্ধন করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা-মা।

মানববন্ধন শেষে অনুলিপি দিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর তারা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় শহরের শেরে বাংলা পার্ক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ভুক্তভোগী ওই বাবা-মার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে মহাসড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।  

জানা যায়, অভিযুক্ত ধর্ষক মানিক জেলার বোদা উপজেলার নয়াদিঘী বামনহাট (শিপাইপাড়া) গ্রামের মৃত জসিম উদ্দীনের ছেলে।  

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জেলার বোদা উপজেলার নয়াদিঘী বামনহাট (শিপাইপাড়া) গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীর বাবা-মা ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচনী প্রচারণা কালে উঠান বৈঠকে বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন। এসময় ওই ছাত্রীর বড় বোন ঠাকুরগাঁও থেকে মায়ের মোবাইলে ফোন দিলে সেই ফোনটি বাড়ি থেকে উঠান বৈঠকে থাকা মাকে দিতে যায় সে। পরে সেখান থেকে ফেরার পথে সিপাহীপাড়া গ্রামের মোতালেব হোসেনের দোকানের সামনের তিন মাথা মোড়ে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মানিক ওই স্কুলছাত্রীর মুখ চেপে ধরে পাশে থাকা চা বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সে। এদিকে কান্নারত অবস্থায় ওই ছাত্রী তার মাকে গিয়ে সব খুলে বলে। এসময় ওই ছাত্রীর মা ধর্ষকের বাড়িতে জিজ্ঞাসার জন্য গেলে মানিক তার মাকে অশ্লিল ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এসময় হঠাৎ ওই ছাত্রীর মা অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখান থেকে তাকে পরিবারের লোকেরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর থানায় মানিকের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা।

ওই ছাত্রীর বাবা বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি জানার পর আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের আগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা শেষে মানিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করি। সাধারণ পরিবারের লোক হওয়ায় মামলাটি করতে একটু সময় লেগে যায়। তবে আমার এই ছোট মেয়েটির জীবন এভাবে ধ্বংস করে দেওয়ায় আমি ধর্ষক মানিকের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ফাঁসির দাবি করছি।

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, মানিক এলাকায় বিভিন্নভাবে অপকর্ম করে ও শিশু মেয়ে ও নারীদের সঙ্গে রাস্তা ঘাটে কু-প্রস্তাব দিত। এতে করে এলাকার মেয়ে ও নারীরা রাস্তায় একা চলতে সমস্যাবোধ করতো। একটি নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় তার ফাঁসির দাবি করছি। অন্যথায় সে জেল থেকে বের হয়ে আবারো এলাকায় অপকর্ম শুরু করবে।  

এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা এন্টি করি। এর পর মামলার ভিত্তিতে পরদিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে হাজতে পাঠান। বর্তমানে সে হাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার তার ফাঁসি দাবি করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।