ঢাকা: মশার কয়েল দোকানে ফেরত দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে ক্রেতা হৃদয় হোসেনকে হত্যা করেন দোকানী রিয়াজুল ইসলাম (২৫) ও তার সহযোগীরা।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) গাজীপুর ও রাজধানীর ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রিয়াজুলকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এলআইসি শাখার সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, গ্রেফতার রিয়াজুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয়কে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রিয়াজুলকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরও জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন তরৎপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে হৃদয় গত ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে রিয়াজুলের মুদি দোকান থেকে মশার কয়েল কিনেন। বাসায় যাওয়র পর হৃদয় দেখেন কয়েলটি নিম্মমানের। পরদিন ১১ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে ওই কয়েলটি নিয়ে রিয়াজুলের দোকানে গিয়ে হৃদয় অভিযোগ করলে রিয়াজুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিয়াজুলের ভাগিনা রাকিব, উজ্জল, আলমগীর ও তুহীন হৃদয়কে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। পরবর্তীতে রিয়াজুল তার হাতে থাকা সুইস গিয়ার ছুরি দিয়ে হৃদয়ের পিঠে আঘাত করেন।
এ সময় হৃদয়ের চিৎকারে তার বাবা আনোয়ার এগিয়ে এলে তাকেও রিয়াজুল ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত আনোয়ার ও হৃদয়কে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা এদিন সন্ধ্যায় হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর নিহত হৃদয়ের বাবা আনোয়ার বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে গাজীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামি রিয়াজুলকে ডেমরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এসজেএ/আরআইএস