নড়াইল: নড়াইলের কালিয়ায় সাথী বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নাসির মৃধা ও তার ভাবি লাবনী বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে নিহতের শ্বশুরবাড়ি পুরুলিয়া ইউনিয়নের চদ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে নাসিরের পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সাথীর জা (স্বামীর ভাইয়ের স্ত্রী) লাবনী বেগমের সঙ্গে তার স্বামী নাসিরের পরকীয়ার কথা জেনে যাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সাথী বাহিরডাঙ্গা গ্রামের ফসিয়ার মোল্যার মেয়ে। সাথীর সাত মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে সাথী বেগমের সঙ্গে চদ্রপুর গ্রামের ওমর মৃধার ছেলে নাসিরের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে সাথীর ওপর নির্যাতন করতো নাসির। নির্যাতনের কারণ বুঝতে না পেরে পরিবারের কাছে অভিযোগ করে সাথী। একপর্যায়ে নাসির তার ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি জানায়। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ সাথীর শ্বশুরবাড়ি থেকে মোবাইলে কল দিয়ে জানানো হয় সাথী স্ট্রোক করে মারা গেছে। এ ঘটনা শুনে পরিবারের লোকেরা সেখানে গিয়ে দেখে সাথীর মরদেহ মাটিতে নামিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাড়ির পাশের একটি গাছে ওড়না ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সাথী আত্মহত্যা করেছে। পরে তার জা লাবনী দা দিয়ে ওড়না কেটে তাকে নামিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই সবুজ মোল্যা বাংলানিউজকে বলেন, ফোন করে আমাকে বলা হলো সাথী স্ট্রোক করছে, পরে বলছে আত্মহত্যা করেছে। আমার বোনকে ওরা মেরে ফেলেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখছি। আমার বোনকে তারা হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এর বিচার চাই।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী নাসির ও নাসিরের ভাবি লাবনী বেগমকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
আরএ