ঢাকা: খুলনা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের ব্যয় ১০৪ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯২ টাকা কমিয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, আজকে ক্রয় কমিটিতে অনুমোদনের জন্য ১৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের পাঁচটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দুটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের একটি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১২টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৭২ হাজার ৫৪০ কোটি ৪১ লাখ ১২ হাজার ৬০ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৭০ হাজার ৮২৪ কোটি ৩১ লাখ ৬ হাজার ৮০৬ টাকা এবং ভারত থেকে ঋণ ১ হাজার ৭১৬ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ২৫৪ টাকা।
বৈঠকে অনুমোদিত প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক “খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ” প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিইউডি-২ এর নির্মাণ ব্যয় ১০৪ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা ব্যয় কমানো হয়েছে। প্রকল্পটির সংশোধিত চুক্তিমূল্য এক হাজার ৪৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯ হাজার ৬৯৮ টাকা নির্ধারণ করে ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স লারসেন অ্যান্ড টরবো লিমিটেড। ভেরিয়েশন বাবদ ১৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৯০ টাকার ব্যয় হ্রাস এবং লেজিসলেটিভ চেঞ্জের কারণে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১২ কোটি ৩৩ হাজার ৬০২ টাকা এবং সিডিভ্যাট ভেরিয়েশন বাবদ ৭৩ কোটি ৮৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয় কমানো হয়েছে।
একই প্রকল্পের অপর একটি প্রস্তাবে প্যাকেজ নম্বর ডব্লিইউডি-১ এর প্যাকেজের নির্মাণ কাজ ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৬৭ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৬ টাকা ব্যয় বাড়ানোর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক বান্দরবান জেলার একটি উপজেলার বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের শিখন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র (এসপিবিকে) শিরোনামের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় ইমপ্লিমেন্টেশন সাপোর্ট এজেন্সি (আইএসএ) হিসেবে সেবা ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ৫০ হাজার টন গম ভারতের এম/এস বাগাদিয়া ব্রাদারস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ১৭৩ কোটি ৩৬ লাখ ৩১ হাজার ৯০০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস