ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে গণধর্ষণ! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১
শিশুর গলায় ছুরি ধরে মাকে গণধর্ষণ!  জুবায়েদ হোসেন আকাশ

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ঘুমন্ত মেয়ের গলায় ছুরি ধরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাড়ির মালিকের ছেলে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

 

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এই মামলার প্রধান আসামি বাড়ির মালিকের ছেলে জুবায়েদ হোসেন আকাশকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়।  এ সময় তিনি ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।  

ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আসামি আকাশ আদালতে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

নির্যাতিতা নারীর পরিবার সূত্র জানায়, ওই নারী (৪০) তিন সন্তানের জননী। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা।  

গত দুই বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ায় মাস দুয়েক আগে ফের তার বিয়ে হয়। তার বর্তমান স্বামী পেশায় অটোরিকশাচালক। বিয়ের পর তিনি স্বামীর সঙ্গে পৌর এলাকার দত্তপাড়ায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করেন।  

ভাড়া বাসায় তাদের পাশের রুমে বসবাস করতেন বাড়ির মালিক একাদুলের ছেলে আকাশ (১৯)।  

বাবা অন্যত্র থাকায় মাহিন্দ্র চালক আকাশ একাই সেখানে থাকতেন।  

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে আকাশ ভাড়াটিয়ার ঘরের দরজা খোলার জন্য ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। দরজা খুলতেই তিনি আরও চারজনকে নিয়ে ঘরে ঢোকেন।

এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র হাতে নারীর স্বামীকে ভয় দেখালে তিনি পালিয়ে যান। পরে ওই পাঁচ যুবক ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন।  

পরে ঘটনাটি স্থানীয়দের জানিয়ে গত মঙ্গলবার থানায় গিয়ে বাদী হয়ে মামলা করেন ওই নারী। ওই মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়।  

আসামিরা হলেন- জুবায়েদ হোসেন আকাশ, আপন মিয়া, মো. জামাল মিয়া, বাবু ওরফে হাড্ডি বাবু ও মো. সোহেল মিয়া।  

এদের মধ্যে সোহেলের বাবা ও গ্রামের পরিচয় জানা যায়নি। বাকিরা সবাই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার দত্তপাড়ার বাসিন্দা।

নির্যাতিতা নারী মোবাইল ফোনে বলেন, চার বছর বয়সী ঘুমন্ত মেয়ের গলায় ছুরি ধরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ওরা পাঁচজন আমার ওপর নির্যাতন চালায়। এ সময় তারা বিষয়টি কাউকে না বলতেও হুমকি দেয়। এ সময় আমার স্বামী ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। বতর্মানে সেও পলাতক রয়েছে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে মামলা হওয়ার পর পুলিশ পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আকাশকে গ্রেফতার করে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১

আরএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।