খুলনা: ‘মুজিববর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সব ভাতা’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় জাতীয় সমাজসেবা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে রোববার (২ জানুয়ারি) দুপুরে অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা, মুক্তিযোদ্ধা, স্বামী পরিত্যক্তা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রচলন করেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১২২টির অধিক ভাতার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, কাউকে পেছনে ফেলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত, হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নেকে অগ্রাধিকার প্রদান করেন। জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে করে একদিকে যেমন দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুর রশীদ, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মো. আব্দুর রহমান ও বীর মক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবীর। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইউসুপ আলী। স্বাগত জানান জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন। খুলনা জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয় যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত ও হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া ১০১ জন রোগীর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা করে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন সিটি মেয়র।
সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় এক লাখ আট হাজার ৪৬১ জনকে বয়স্ক ভাতা, ৪৭ হাজার ৮৭৩ জনকে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত ভাতা এবং ৩৪ হাজার ৫৭৯ জনকে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাসহ মোট এক লাখ ৯০ হাজার ৯৩১ জনকে জিটুজি পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইলে এ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারলাইজড, জন্মগত ও হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তার জন্য এ পর্যন্ত দুই হাজার ৪১ জনকে দশ কোটি ২১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে শহীদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অফিসার্স ক্লাবে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২২
এমআরএম/আরবি