রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার একটি সাপের খামারে অভিযান চালিয়ে দুটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২ জানুয়ারি) বিকেলে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট অজগর দুটি উদ্ধার করে।
জানা গেছে, কালুখালীর হোগলাডাঙ্গায় রঞ্জু নামে এক ব্যক্তির সাপের খামারে দুটি অজগর রয়েছে বলে তথ্য দেয় সাউথ এশিয়া উইল্ডলাইভ ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (এসএডব্লিউইএন)। পরে বন বিভাগের সহযোগিতায় ঢাকা রেঞ্জ বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জহির আকনের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালিয়ে অজগর দুটি উদ্ধার করা হয়।
রাজবাড়ী সামাজিক বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুজ্জামান জানান, অজগর দুটি উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে গেছেন ঢাকা রেঞ্জ বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের টিম।
বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, অজগর নির্বিষ নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির। প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা নড়াচড়া করে না। এ প্রজাতিটি একা বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাঁধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এদের প্রজননকাল।
তিনি আরও জানান, দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। অজগর সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা ইঁদুর, মুরগি, ছোট থেকে মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণি, সরীসৃপ প্রাণি ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এরা নিজের আকারের চেয়েও বড় প্রাণিও খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।
জোহরা মিলা বলেন, অজগরের চামড়া পাচারকারীদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে দিন দিন অজগর হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত। তাই এটি হত্যা বা এর কোনো ক্ষতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২২
জেডএ