ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মেয়ে-জামাই হত্যার বিচার না দেখেই চলে গেলেন সাংবাদিক রুনির মা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২২
মেয়ে-জামাই হত্যার বিচার না দেখেই চলে গেলেন সাংবাদিক রুনির মা

ঢাকা: প্রয়াত সাংবাদিক মেহেরুন রুনির (সাগর-রুনি) মা নুরুন নাহার মির্জা (৬৪) মৃত্যুবরণ করেছেন।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তিনি কিডনি সমস্যা নিয়ে প্রায় একমাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে জানিয়েছেন রুনির ভাই নওশের আলম।

তিনি জানান, সকালে মরহুমের মরদেহ ঢাকার ইন্দিরা রোডের বাসায় নেওয়া হয়েছে। বাদ জোহর বাসার কাছে পশ্চিম রাজাবাজার জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে আজিমপুর কবরস্থানে সাগর-রুনির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

নওশের আলম জানান, গত ২১ ডিসেম্বর আম্মাকে আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করি। সে সময় আইসিইউতে ছিলেন তিনি। এরপর অবস্থা কিছুটা ভালো হলে কেবিনে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় উনার কিডনির কোনোটিই কাজ করছিল না। তখন ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। ব্লাড দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। এরপর আম্মার করোনা পজিটিভ হওয়ার আমরা গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে নিয়ে আসি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার পর তাদের একমাত্র সন্তান মেঘকে আগলে রেখেছিলেন নুরুন নাহার মির্জা। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আবারও একা হয়ে গেল মেঘ। মৃত্যুকালে তিন ছেলে সন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হন। ফ্ল্যাটে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। আর রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন।

এদিকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা দিতে পারেনি তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। এ পর্যন্ত ৮৪ বার পিছিয়েছে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ। পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলা নগর  থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২২
এইচএমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।