ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে বিক্ষোভ

সিনিয়র করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে বিক্ষোভ রোববার সন্ধ্যায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা

সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগর ভবনের সামনে গিয়ে পথসভা করে।

সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে ও গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তানজিল হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমদ।

আরও বক্তব্য দেন—সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম আমিন, দক্ষিণ সুরমা কলেজের আখতার হোসাইন, লিডিং ইউনিভার্সিটির মোহাম্মদ বিপুল, মদনমোহন কলেজের সাকিব রানা, এমসি কলেজের সুরাইয়া পারভিন আঁখি, মামুনুর রশীদ, আল আমিন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী কুলসুমা, এমসি কলেজের জাহেদ জয় ও সালেহ আহমদ প্রমুখ।


শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সিলেট শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা

বক্তারা বলেন, ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পূণ্যভূমি সিলেটকে কলঙ্কিত করেছেন। এরকম বেহায়া ভিসি আমরা চাই না। শাবিতে আমাদের বন্ধুদের ভিসিবিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করছি। তাদের সঙ্গে ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে আমরাও বলতে চাই—যে ভিসি বোমা মারে, সেই ভিসি চাই না। অবিলম্বে আমরা ভিসির পদত্যাগ চাই।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরেও বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগের দাবিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেও অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে মেঝেতে পাতা বিছানা থেকে অনশনকারীদের চৌকির ওপর তোলা হয়। সন্ধ্যা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে অনশনরত শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটক থেকে একটু সরিয়ে চৌকির উপর নেওয়া হয়। মোট ৮টি চৌকি বিছানো হয়েছে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের জন্য।

গত ১৩ জানুয়ারি বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলটির কয়েকশ’ ছাত্রী। এরপর ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের আন্দোলনরত ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়।

পর দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান।

এরপর ১৯ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন ২৪ শিক্ষার্থী। বর্তমানে অনশন করছেন ২৮ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ১৩ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্য বাসভবনের সামনেই রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad