ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নওগাঁয় ডাকাত-প্রতারকসহ গ্রেফতার ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২২
নওগাঁয় ডাকাত-প্রতারকসহ গ্রেফতার ৩

নওগাঁ: নওগাঁর সাপাহারে গরু চুরি করে পালানোর সময় ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাত ৩টায় উপজেলার তাজপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মাদের ছেলে কুখ্যাত ডাকাত আলম (৪৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মশরীভোজা গ্রামের বোধন মণ্ডলের ছেলে পালাশ (৪০)।

অপরদিকে, জাহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক প্রতারককে সাভার থেকে গ্রেফতার করে মান্দা থানা পুলিশ। গ্রেফতার জাহিদুল ইসলাম মান্দা উপজেলা কুশুম্বা (বাবুই পাড়া) গ্রামের ইউনুছ আলী মোল্যার ছেলে। গ্রেফতারের পর বুধবার সকালে তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়।

সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার পালপাড়া গ্রামের অনিল চন্দ্র পালের ছেলে ও অনিক ড্রাগ হাউজের মালিক অনিক পাল দোকান বন্ধ করে নিজ বাসায় ফিরছিলেন। অনিক তার বাড়ি কাছে পৌঁছালে একদল ডাকাত তার পথ রোধ করে দাঁড়ায়। এসময় ডাকাতদের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে অনিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আঘাত পেয়ে অনিক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন বেরিয়ে আসে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা অনিককে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
 
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এমতাবস্থায় রাত ৩টার দিকে ডাকাত দলের সদস্যরা উপজেলার উঁচাডাঙ্গা গ্রাম থেকে একটি গরু ও একটি বাইসাইকেল ডাকাতি করে ভুটভুটিতে উঠিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পিকআপভ্যান দিয়ে তাদের ভুটভুটির পথরোধের চেষ্টা করে। ডাকাত সদস্যরা পুলিশ ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে পালাবার চেষ্টা করলে ভুটভুটি উল্টে গেলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ ধাওয়া করে আহত অবস্থায় পলাশকে আটক করে। এ সময় তার কাছে থেকে একটি হাসুয়া, একটি শাবল ও একটি সুচালো লোহার রড জব্দ করা হয়।

এরপর অপর কুখ্যাত ডাকাত আলম পায়ে আঘাত পেয়েও দৌঁড়ে গিয়ে তাজপুর গ্রামের একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। এসময় পুলিশের দল পানি থেকে তাকে তুলতে ব্যর্থ হলে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে তাজপুর গ্রামের জনগণ জেগে যায়। পরে এলাকার লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা সারা পুকুরটিকে ঘিরে ফেলে ডাকাত আলমকে পুকুর থেকে তোলার চেষ্টা করে।  

পুলিশ ও জনগণের চেষ্টা ব্যর্থ হলে পুলিশের দুইজন কনস্টেবল পুকুরে নেমে আলমকে ধরে উপরে তোলেন। পরে তাদের আহত অবস্থায় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এ বিষয়ে সাপাহার থানায় একটি মামলার প্রস্ততি চলছে।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রতারক জাহিদুল ইসলাম বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাকরি নিয়ে দেওয়া কথা বলে ও বিদেশ পাঠাবে বলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় এক বছর করে ৩ বছর সাজা হয়েছে। আরো একটি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। সাজা হওয়ার পর দীর্ঘদিন তিনি অজ্ঞাত বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জব্বার সাভার থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেতারের পর বুধবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে জাহিদুল ইসলামকে পাঠানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।