ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বেশি শিক্ষিতরাই বেশি বেকার: রুমিন ফারহানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২২
বেশি শিক্ষিতরাই বেশি বেকার: রুমিন ফারহানা

ঢাকা: জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, যে যত বেশি শিক্ষিত, তার বেকার থাকার সম্ভাবনাও তত বেশি।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পিরোজপুর বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিলটি উপস্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রুমিন ফারহানা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস’র গবেষণায় বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি বেকার স্নাতক ডিগ্রিধারীরা। স্নাতক বা স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে চাকরি পান মাত্র ২১ শতাংশ। ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনও অন্য কোনও বিষয়ে স্নাতোকোত্তর বা কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করছেন বা কিংবা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী স্ব-উদ্যোগে কিছু করার চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ শ্রমশক্তি জরিপে দেখা গেছে, দেশের শিক্ষিত মানুষের মধ্যে বেকারের হার বেশি। ৪৭ শতাংশ মানুষই বেকার থাকছে।

আরেকটা বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ স্পিকার আমাদের দেশে চাকরিরত মানুষের মধ্যে বড় একটা অংশ আন্ডার এমপ্লয়েড। অর্থাৎ তারা তাদের যোগ্যতার তুলনায় নিচু পদে ও কম পারিশ্রমিকে কাজ করছে।

দেশের শিক্ষিত তরুণরা ছুটছে বিসিএস’র দিকে। অথচ সবশেষে বিসিএস’র পরীক্ষায় যখন পৌন পাঁচ লাখ প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন তখন শূন্যপদের সংখ্যা দুই হাজার একশটি। সরকারি চাকরি লোভনীয় কোনো সন্দেহ নেই। চাকরিতে নিশ্চয়তা আছে, ভালো বেতন ও অবসরের পরে পেনশনের ব্যবস্থা আছে। চাইলে আছে অবৈধভাবে অকল্পনীয় উপার্জনের রাস্তা। আছে ক্ষমতার দো-দণ্ড প্রতাপ। কিন্তু দেড়-দুই দশক আগেও বিসিএস নিয়ে এমন উম্মাদনা ছিল না। কারণ নিশ্চিতভাবে শিক্ষিত তরুণদের জন্য ভালো চাকরির সুযোগ এখনকার তুলনায় অনেক বেশি ছিল।

গণতন্ত্র ও বাজার অর্থনীতিতে বিশ্বাসী ৩৮টি দেশের সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো-করপোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’র মতে, এসব দেশ শুধু উন্নয়নশীল দেশই নয়, জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকেও অত্যন্ত উচ্চস্তরের অধিকারী।

তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে আছে সরাসরি কর্মমুখী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। ভোকেশনাল অ্যাডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং। এসব দেশে মাধ্যমিক পর্যায় থেকে যুক্ত হয় প্রায় এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক স্তরে যুক্ত না হলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে গিয়ে ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে যুক্ত হয়। এ ধরনের শিক্ষায় যুক্ত হওয়ার হার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মাত্র ১২ শতাংশ। শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে সেটার যথেষ্ট নজির আছে বিশ্বব্যাপী। কিন্তু সেদিকে না হেঁটে আমাদের সরকার হাঁটছে উল্টো দিকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২২
এসই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।